২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

হাতের ইশারাতেই চলছে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা

-

রাজধানী ঢাকার রাস্তায় স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সিগন্যাল অনুসরণ করে গাড়ি চলেছে, তা ভুলতে বসেছি আমরা। সিগন্যাল লাইটের দিকে এখন আর ট্রাফিক পুলিশ বা গাড়িচালক কেউ ফিরেও তাকান না। হাতের ইশারাতেই গাড়ি চলে আর থামে। রাজধানীর ট্রাফিক-ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে পুলিশ। কিন্তু স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালের সরঞ্জাম সরবরাহ ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের। পরিবহন-বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুলিশ ও সিটি করপোরেশনের সমন্বয়হীনতার কারণে সংকেতব্যবস্থা কার্যকর হচ্ছে না। তারা বলছেন, একটি শহরের ট্রাফিক-ব্যবস্থা বছরের পর বছর হাতের ইশারায় চলতে পারে না। ট্রাফিক পুলিশ ও সিটি করপোরেশনের ঠেলাঠেলিতে গত ১০ বছরে স্বয়ংক্রিয় সংকেতবাতি চালু করা যায়নি।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, এসব সংকেতবাতির বেশির ভাগই নষ্ট। সংকেতব্যবস্থা শতভাগ সচল না হলে পুলিশ তা নিজেদের দায়িত্বে নিতে আগ্রহী না। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মীর রেজাউল আলম বলেন, ট্রাফিক সিগন্যালের ব্যবস্থাপনা, লোকবল সব সিটি করপোরেশনের। হাতের ইশারার বদলে পুলিশ এসব বাতির ওপর নির্ভরশীল হতে চায়। কিন্তু হুট করে পুলিশের কাছে তা হস্তান্তর করলে হবে না। তিনি বলেন, রাজধানীর সংকেতবাতিগুলো সার্বক্ষণিক সচল রাখার দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। স্বয়ংক্রিয় বাতি এক দিন চলে তো পরদিন বন্ধ থাকে।
তবে সংকেতব্যবস্থা রক্ষণাবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ করতে একটি কারিগরি বিভাগ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ। এই বিভাগের জনবলকাঠামো নিয়ে একটি প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ওই বিভাগের মাধ্যমে পুলিশ সব ট্রাফিক সংকেতবাতির রক্ষণাবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ করবে।
১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে স্বয়ংক্রিয় সংকেতব্যবস্থা পুলিশের কাছে হস্তান্তরের কথা ছিল। কিন্তু ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন তা করেনি। অবশ্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও কেইস প্রকল্পের পরিচালক শিহাবুল্লাহ দাবি করেন, সংকেতবাতির বেশির ভাগ ঠিক আছে। সরকার চাইলে যেকোনো সময় সংকেতবাতি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পুলিশকে বুঝিয়ে দেয়া হবে।
ট্রাফিক সিগন্যাল কিভাবে চলছে, তা দেখতে গত কয়েক দিন রাজধানীর মিরপুরের টেকনিক্যাল মোড়, কলেজ গেট, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, শাহবাগ, ফার্মগেট, আসাদগেট এলাকা ঘরে দেখা গেছে এসব এলাকার সড়কে থাকা বেশির ভাগ সংকেতবাতি জ্বলে না। আবার কিছু এলাকায় সংকেতবাতি ভাঙা ছিল। সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে দেখা যায়, ট্রাফিক পুলিশের দুই সদস্য যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করছেন। তাদের সামনে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সিগন্যাল বাতি। পাশে লাগানো স্বয়ংক্রিয় টাইমারটিও অকেজো।
রাজধানীতে সর্বশেষ স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সংকেতব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল ২০১৫ সালে। কাকলি থেকে শাহবাগ পর্যন্ত ১১টি পয়েন্টে এসব সংকেতবাতি বসানো হয়। কিন্তু যানজট সামাল দিতে না পেরে চালুর তিন-চার দিনের মাথায় পুলিশ হাত ও বাঁশির ব্যবস্থায় ফিরে যায়। এরপর আর স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ট্রাফিক-ব্যবস্থার উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণে গঠিত কমিটি সূত্রে জানা যায়, ট্রাফিকের কারিগরি ইউনিটে জনবল নিয়োগ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো পুলিশের অনিষ্পন্ন প্রস্তাবটির সব সিদ্ধান্ত সমন্বয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালককে (প্রশাসন)।
গত ১৮ বছরে রাজধানীর ট্রাফিক সংকেতব্যবস্থার উন্নয়নে তিনটি প্রকল্প নেয়া হয়। ২০০০ সালে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ঢাকা আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রকল্পের আওতায় ৭০টি জায়গায় আধুনিক ট্রাফিক সিগন্যাল বাতি বসানোর কাজ শুরু হয়। এটি শেষ হয় ২০০৮ সালে। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবহৃত না হওয়ায় অল্প দিনেই বেশির ভাগ বাতি অকেজো হয়ে পড়ে। এরপর বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ২০১০-১১ অর্থবছরে ‘নির্মল বায়ু ও টেকসই পরিবেশ (কেইস)’ নামে আরেকটি প্রকল্পের আওতায় স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সিগন্যাল-ব্যবস্থা গড়ে তুলতে প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে সরঞ্জাম কেনা হয়। এর আওতায় ৯২টি মোড় বা ইন্টারসেকশনে সোলার প্যানেল, টাইমার কাউন্টডাউন ও কন্ট্রোলার স্থাপন করা হয়। এটিও এখন অকার্যকর। হ


আরো সংবাদ



premium cement
কুমিল্লা সীমান্তে মাদকসহ ভারতীয় নাগরিক আটক এশিয়ায় মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন নিয়ে রাশিয়ার পাল্টা হুমকি ফিলিস্তিনের প্রতি বাংলাদেশের দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত বিক্ষোভে উত্তাল পাকিস্তানে নিহত আরো ৬, সেনা মোতায়েন রাষ্ট্রদ্রোহের ঘটনায় যুক্ত থাকলে ছাড় দেয়া হবে না : আসিফ মাহমুদ বিয়ের প্রলোভনে আ’লীগ নেতার বিরুদ্ধে নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ ট্রাম্প দায়িত্ব নেয়ার প্রথম দিনই চীন-মেক্সিকো-কানাডার ওপর শুল্ক আরোপ করবেন আ’লীগ ইসলামী আদর্শকে জঙ্গিবাদ বলে এখন জঙ্গি ও সন্ত্রাসী হয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে : আলাউদ্দিন সিকদার শিক্ষার্থীদের আন্দোলন কঠোর হয়ে দমন করতে চাই না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শরণখোলা প্রেসক্লাবের নির্বাচনে আলী সভাপতি-আনোয়ার সম্পাদক রিমান্ড শেষে কামরুল-জ্যাকবকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ

সকল